ব্রেকিং নিউজ
মাদারীপুরে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

মাদারীপুরে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব \ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শিবচর হাজী কালু বাইয়ারকান্দি কুতুবপুর এলাকার রশীদ চোকদারের ছেলে শাখাওয়াত(৩৯) চোকদারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় মাদারীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নেছার উদ্দিন (৪২) ও মোঃ শাহিন বেপারী (৪৫) জানায়,গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী- শিমুলিয়ার রুটের ঘাট ও ফেড়িতে লুজ যাত্রীদের ভাড়া আদায়ের নিমিত্তে ১ বছরের জন্য টিকেটিং এজেন্ট নিয়োগ নেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে উক্তঘাটের ইজারা বাবদ আমরা সকল খরচ বহন করেছিলাম। সাখাওয়াত চোকদারের সাথে আমাদের চুক্তি ছিল তিনি কোন লাভ ক্ষতি বহন করবে না,সে সুধু তার নাম মাত্র ঘাটটি নিয়ে আমাদের কাছে মৌক্ষিক ভাবে হস্তান্তর করে দেয়। পরবর্তীতে লিখিত ভাবে দেওয়ার কথা ছিল। ঘাট ইজারার জামানত বাবদ ২৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৫শত টাকা ব্যাংক এর মাধ্যমে অফিসে জমা দেই। (ব্যাংক ড্রাফট নং-১৮২০২৪০ তারিখ ১ জানুয়ারী ২০২০) এবং ঘাট নিতে বিভিন্ন খাতে অনেক টাকা খরজ হয়েছে যা আমরা দুজনেই বহন করেছিলাম। গত ১৫ জানুয়ারী হইতে ঘাট বুজিয়া পাইয়া সরকারী নির্দেশনা মতে উভয় ঘাটের টাকা আদায় করে শর্বমোট চৌত্রিশ লক্ষ আটশাট্রি হাজার পাঁচশত উনপঞ্চাশ টাকা আমরা জমা করেছি। হঠাৎ করে গত ৫ মে শাখাওয়াত চোকদারের সহযোগিতায় সাইফুল ইসলাম বাবু বেপারীসহ ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে এসে জোরপূর্বক ঘাট দখল করে নেয়।
এবং শিবচর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাদাবাজির মামলা দয়ের করে। তার পর থেকে আমারা আর ঘাটের ধারে কাছে জেতে পারছিনা। গত ৭ জুন ২০২০ মতি মাদবর নামে সাখাওয়াতের নিকটআত্মীয় নেছারউদ্দিনকে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ব্যবসায়কি কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কাছ থেকে তিনশত টাকার জুডিসিয়াল খালি স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক ৩টি স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এবিষয় আমি নারায়ন গঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করি। এবিষয়ে অভিযুক্ত সাখাওয়াত চোকদারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।

---------